ঢাকা: দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস করে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ফ্যাসিস্ট ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শিক্ষা সনদ বাতিল, ছাত্রত্ব থেকে বহিষ্কার, এবং শ্রেণিকক্ষে প্রবেশাধিকারে বাধা দেওয়ার মতো দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র সংগঠনের সদস্য হওয়ার কারণে তাদের সনদ বাতিল ও শিক্ষাজীবন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া আবাসিক হল থেকে উচ্ছেদ এবং শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অরাজকতা ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং কলেজে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে আবাসিক হলগুলো দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এদিকে স্বাধীনতাবিরোধী এবং মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সরকার শিক্ষার্থীদের ‘জিরো এডুকেশন’ এবং ‘জিরো এমপ্লয়মেন্ট’-এর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিমত দিয়েছেন শিক্ষা বিশ্লেষকরা।
বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব বাতিলের প্রসঙ্গ
অতীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তার ছাত্রত্ব থেকে বঞ্চিত করেছিল। তবে সেই দমননীতি বঙ্গবন্ধুর লড়াই থামাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, তাদের শিক্ষার অধিকার লঙ্ঘন করেও সংগঠনের সংগ্রাম থামানো যাবে না।
ছাত্রলীগের অঙ্গীকার
ছাত্রলীগ নেতারা স্পষ্ট করেছেন যে, সরকারের দমনমূলক পদক্ষেপ তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে না। তারা ফ্যাসিস্ট ইউনুস সরকারের পদত্যাগ এবং শিক্ষার মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে।
“আমাদের সনদ কেড়ে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু আমাদের সংগ্রামের চেতনা দমন করা যাবে না,” বলেন এক ছাত্রলীগ নেতা।
শিক্ষা খাতে চলমান অচলাবস্থা ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় আরও বৃহৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।