জার্মানির অটোমোবাইল শিল্পের মুকুট রত্ন, ভক্সওয়াগন, এখন একটি নতুন মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। দেশটির যুদ্ধ-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই প্রতিষ্ঠানটি আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, ইলেকট্রিক গাড়ির প্রতি ক্রমবর্ধমান ঝোঁক, এবং ইউরোপ ও চীনের বাজারে চাহিদার হ্রাস ভক্সওয়াগনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
২০২৪ সালে ভক্সওয়াগনের বৈশ্বিক সরবরাহ ১.৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৫ মিলিয়ন গাড়িতে। তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের আয় ৪১.৭ শতাংশ কমে ৫.৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এই মন্দার ফলে ড্রেসডেন ও অসনাব্রুকের মতো কারখানাগুলো অপ্রতুল উৎপাদনের শিকার হয়েছে। উচ্চ শ্রম ও উপাদান ব্যয়ের কারণে এই কারখানাগুলো প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে, চীনা বিনিয়োগকারীরা এই কারখানাগুলো ক্রয়ের মাধ্যমে নতুন সুযোগ খুঁজে নিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা এই কারখানাগুলোর পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে বৈশ্বিক অটোমোবাইল শিল্পে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে চায়। চীনের ইলেকট্রিক গাড়ি শিল্পে অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে, এই পদক্ষেপটি জার্মানি থেকে শিল্প শক্তির কেন্দ্রীকরণ চীনে স্থানান্তরের সূচনা হতে পারে।
ভক্সওয়াগনের এই পরিবর্তন শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠানকে নয়, বরং পুরো অটোমোবাইল শিল্পের ভবিষ্যৎকেও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে। জার্মানির শিল্প ঐতিহ্যের এই প্রতীকী প্রতিষ্ঠানের ভাগ্য এখন চীনের হাতে, এবং এর পরিণতি গোটা বিশ্বের নজরে থাকবে।