গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন দ্বীপটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেলে ব্রোবর্গ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ৭৫% গ্রিনল্যান্ডবাসী স্বতন্ত্র একটি রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে চান।
অন্যদিকে, আমেরিকার অংশ হতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা এতটাই নগণ্য যে তা পরিসংখ্যানগতভাবে ০.০০০১% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। ব্রোবর্গের মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, গ্রিনল্যান্ডের জনগণের মধ্যে জাতীয় পরিচয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার প্রতি গভীর আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।
ব্রোবর্গ আরও বলেন, "গ্রিনল্যান্ডের জনগণ নিজেদের ভূমি ও সম্পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চায়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ডেনমার্কের অধীনে ছিলাম, কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের হাতেই থাকা উচিত।"
ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে গ্রিনল্যান্ডের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচনা চলছে। তবে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা গ্রিনল্যান্ডের জন্য একটি বড় বাধা হতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদ ও ভৌগোলিক অবস্থান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, যা স্বাধীনতার প্রশ্নকে আরও জটিল করে তুলেছে।