চীনের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল DeepSeek প্রযুক্তি দুনিয়ায় একটি বিস্ময়কর বিপ্লব ঘটিয়েছে। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি বাজার থেকে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের মূল্য মুছে দিয়েছে।
DeepSeek-এর উত্থান এতটাই দ্রুত যে এটি ইতোমধ্যেই পশ্চিমা প্রযুক্তির শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বীদের, যেমন ChatGPT-এর তুলনায় পারফর্মেন্সে এগিয়ে গেছে। আরও বিস্ময়কর বিষয় হলো, এটি উন্নয়ন ও কার্যক্ষমতার দিক থেকে অনেক কম খরচে তৈরি হয়েছে।
এই সাফল্যের ফলে, মার্কিন প্রযুক্তি শেয়ার বাজার বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন, এবং মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টরা চীনের বিদ্যুৎগতির উদ্ভাবনের সঙ্গে তাল মিলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধুমাত্র চীনের জন্য একটি বিজয় নয়, বরং বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। চীনের DeepSeek দেখিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র আর এককভাবে প্রযুক্তির দুনিয়ায় আধিপত্য ধরে রাখতে পারছে না।
যা একসময় চীনের জন্য কয়েক দশক লেগেছিল উৎপাদনে এবং কয়েক বছর লেগেছিল ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে, এখন তারা এআই-এর ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক মাসেই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
DeepSeek-এর সাফল্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি সতর্ক সংকেত। প্রযুক্তির নতুন সীমান্ত এআই-তে চীন এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে যে এটি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার নিয়মই বদলে দিচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই চ্যালেঞ্জের মুখে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে?