২০২৫ সালের ২৩ জানুয়ারি, ওয়াশিংটন ডি.সি.:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনস্থ সংস্থাগুলোর প্রকাশনা এবং যোগাযোগ কার্যক্রমে অস্থায়ী বিরতির ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের (এইচএইচএস) ভারপ্রাপ্ত সচিব ডরোথি ফিঙ্কের অভ্যন্তরীণ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ পর্যন্ত এসব সংস্থার সব ধরনের প্রকাশনা, সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট এবং বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের অনুমোদন ব্যতীত প্রকাশ করা যাবে না।
প্রধান প্রভাবিত সংস্থা ও কার্যক্রম
- সিডিসি (CDC): সাপ্তাহিক স্বাস্থ্য প্রতিবেদন "মরবিডিটি অ্যান্ড মরটালিটি উইকলি রিপোর্ট" স্থগিত, যা জনস্বাস্থ্য সতর্কতায় গুরুত্বপূর্ণ।
- এফডিএ (FDA): খাদ্যবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব সংক্রান্ত তথ্য আপডেট এবং ই.কোলাই ও লিস্টেরিয়া সংক্রমণ তদন্তে বিলম্ব।
- এনআইএইচ (NIH): গবেষণা অনুদান পর্যালোচনা এবং ক্লিনিকাল ট্রায়ালের কার্যক্রম স্থগিত।
ব্যতিক্রম ও প্রশাসনের ব্যাখ্যা
এইচএইচএস জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও জরুরি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো অনুমোদিত হলে প্রকাশ পাবে। প্রশাসন দাবি করেছে, নতুন টিমের কাজের সমন্বয়ের জন্য এটি প্রয়োজনীয়।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই পদক্ষেপকে "জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক" বলে অভিহিত করেছেন। সিডিসির সাবেক কর্মকর্তা ড. আলী খান বলেছেন, "এই নিষেধাজ্ঞা রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় বড় বাধা সৃষ্টি করবে।" ড. মনিকা গান্ধী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, "এনআইএইচের গবেষণা কার্যক্রম থমকে গেলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।"
অন্য পদক্ষেপ
- ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা: অজরুরি ভ্রমণ বাতিল।
- ডব্লিউএইচও থেকে সরে আসা: ট্রাম্পের নির্দেশে ডব্লিউএইচও প্রকল্পগুলো স্থগিত।
রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ
ট্রাম্প প্রশাসনের স্বাস্থ্য সচিব পদে রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রের মনোনয়ন প্রক্রিয়া চলছে, যিনি টিকা-বিরোধী মতামতের জন্য বিতর্কিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নিয়োগ বৈজ্ঞানিক স্বাধীনতার জন্য হুমকি হতে পারে।
এই পদক্ষেপ জনস্বাস্থ্য, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।