২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে, ইউকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে স্বাস্থ্য সহায়তা ৬৩% কমিয়ে দিয়েছে, যেগুলো "রেড লিস্ট" হিসেবে পরিচিত। এই দেশগুলোতে স্বাস্থ্যখাতের কর্মীসংকট মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। রয়্যাল কলেজ অব নার্সিংয়ের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষত, স্বাস্থ্যখাতের কর্মী শক্তি বাড়ানোর জন্য যেসব প্রকল্পে অর্থায়ন করা হতো, সেগুলোতে অর্থ বরাদ্দ ৮৩% পর্যন্ত কমেছে।
অন্যদিকে, এই একই সময়ে যুক্তরাজ্যে এই দেশগুলো থেকে নার্সদের নিয়োগের হার প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। ২০২০ সালে যেখানে নিবন্ধিত নার্সের সংখ্যা ছিল ১১,৩৮৬, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২,৫৪৩-এ।
এই স্বাস্থ্য সহায়তা কাটছাঁটের পেছনে ছিল যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বে বিদেশি সহায়তা বাজেট ৪ বিলিয়ন পাউন্ড কমানোর সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে বাজেট জিডিপির ০.৭% থেকে ০.৫%-এ নামিয়ে আনা হয়। এর ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন দেশে তীব্র সংকট তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২১ সালে সিয়েরা লিওনে ফান্ডিং বন্ধ হওয়ার কারণে অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে জ্বালানি সংকট দেখা দেয়, যা জরুরি রোগী পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার "রেড লিস্ট" তালিকায় ৫৫টি দেশ রয়েছে, যার মধ্যে ঘানা, নাইজেরিয়াসহ আরও অনেক দেশ অন্তর্ভুক্ত। এই দেশগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি মারাত্মক। আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসারে এই দেশগুলো থেকে সক্রিয়ভাবে কর্মী নিয়োগ নিরুৎসাহিত করা হয়।
যুক্তরাজ্যের এমন দ্বিমুখী নীতি – একদিকে স্বাস্থ্য সহায়তা কমানো এবং অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে নার্স নিয়োগ – আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।