ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রেগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণের সময় আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান এবং একটি মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুইটি বিমানে মোট ৬৭ জন আরোহী ছিলেন। তাদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
হিমশীতল জলে উদ্ধার কার্যক্রম
সংঘর্ষের পর বিমান এবং হেলিকপ্টার উভয়ই একটি নদীতে পড়ে যায়। বর্তমানে উদ্ধারকর্মীরা হিমশীতল জলে সম্ভাব্য জীবিতদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন। নদীর জলের তাপমাত্রা তুষার-সন্নিকটে, যা উদ্ধার অভিযানে অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ যোগ করছে। বিশেষজ্ঞ ডুবুরি দল এবং উদ্ধার কর্মীরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
রোনাল্ড রেগান এয়ারপোর্টে কার্যক্রম স্থগিত
ঘটনার পরপরই রোনাল্ড রেগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে সকল উড়ান কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষা এবং দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
হোয়াইট হাউসের পর্যবেক্ষণ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই মর্মান্তিক ঘটনার বিষয়ে অবহিত হয়েছেন এবং সিচুয়েশন রুম থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন পরিবহন সচিবের সঙ্গে একাধিকবার টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফেডারেল পর্যায়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ
ডিডাব্লিউ সংবাদদাতা স্টেফান সিমন্স, যিনি ঘটনাস্থল থেকে প্রতিবেদন দিচ্ছেন, জানিয়েছেন, "পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ। নদীর তীরে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে, তবে পরিস্থিতি খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়।"
জাতীয় শোক
এই দুর্ঘটনা মার্কিন বিমান চলাচল ইতিহাসে আরেকটি মর্মান্তিক অধ্যায় যোগ করেছে। পুরো জাতি শোকাহত, এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
উদ্ধার এবং তদন্তের পরবর্তী অগ্রগতি জানার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।