বর্ধমান, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর নানা জল্পনার পর অবশেষে বাবলু যাদব নামে এক ব্যক্তি পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। সুনন্দার মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত এই বাবলু যাদবকে নিয়ে এতদিন ধরে একের পর এক প্রশ্ন উঠছিল। সিপিআইএম-এর তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়েছিল যে, বাবলুর রাজনৈতিক সংযোগের কারণে পুলিশ তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিচ্ছে। অবশেষে আজ বর্ধমান থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।
ঘটনার সূত্রপাত সুনন্দার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। এই ঘটনায় বাবলু যাদবের নাম সামনে আসার পর থেকেই স্থানীয় মানুষের মনে ক্ষোভ আর হতাশা জমছিল। সিপিআইএম-এর নেতারা দাবি করেছিলেন, “পুলিশ বারবার তার বাড়িতে গিয়েও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তার পেছনে রাজনৈতিক হাত রয়েছে, যার জন্য তাকে বাঁচানো হচ্ছে।” এই অভিযোগের পর থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে—বাবলু কি সত্যিই আইনের ঊর্ধ্বে?
আজ সকালে বর্ধমানের সদরঘাট এলাকা থেকে বাবলুকে আটক করা হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এতদিন আমরা শুনে আসছিলাম, বাবলু পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আজ যখন শুনলাম পুলিশ তাকে ধরেছে, একটু হলেও মনে শান্তি লাগল। সুনন্দার পরিবারের জন্য অন্তত কিছুটা ন্যায়বিচারের আশা জাগল।” তবে, পুলিশের তরফে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তারির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি, যা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে, সিপিআইএম-এর এক নেতা জানান, “আমরা শুক্রবার থেকেই এই খবর প্রচার করছিলাম। আমাদের দাবি ছিল, বাবলুকে আটক করতে হবে। পুলিশের উপর চাপ না পড়লে কি এটা সম্ভব হত? এখানে রাজনৈতিক সংযোগের বিষয়টি স্পষ্ট।” তিনি আরও বলেন, “বাবলু যদি এতদিন ধরা না পড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষের আইনের উপর ভরসা থাকে কী করে?”
সুনন্দার মৃত্যুর ঘটনায় এখনো অনেক প্রশ্ন অনুত্তরিত। বাবলু যাদব কি সত্যিই এই ঘটনার মূল চালক? তার রাজনৈতিক সংযোগ কতটা গভীর? আর পুলিশ কেন এতদিন নীরব ছিল? এই আটকের মধ্য দিয়ে অন্তত একটা আশার আলো দেখা গেলেও, সত্য উদঘাটনের পথ এখনো অনেক দূর। সাধারণ মানুষের চোখ এখন পুলিশ আর আদালতের দিকে।