দিল্লি , ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ – ১৯৬১ সালের পুরনো আয়কর আইনের পরিবর্তে নতুন আয়কর আইন ২০২৫ চালু হতে যাচ্ছে, যা আয়কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করতে সাহায্য করবে। নতুন এই আইনে আয়কর সংক্রান্ত জটিলতা কমিয়ে আনা হয়েছে এবং ডিজিটাল সম্পদ যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সিকেও করের আওতায় আনা হয়েছে।
১৯৬১ সালের আইনে ৮০০ পৃষ্ঠার বেশি এবং ৫৩৬টি ধারা ছিল, যা এখন কমিয়ে ২৯৮টি ধারা করা হয়েছে। নতুন আইনটি সংসদে পাস হলে এপ্রিল ২০২৬ থেকে কার্যকর হবে। নতুন আইনে "পূর্ববর্তী বছর" এবং "মূল্যায়ন বছর" এর ধারণা বাদ দিয়ে "কর বছর" চালু করা হয়েছে। এখন থেকে কর বছর হবে ১২ মাসের আর্থিক বছর, যা ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হবে। নতুন ব্যবসা বা আয়ের উৎসের ক্ষেত্রে কর বছর প্রতিষ্ঠার তারিখ বা আয় শুরুর তারিখ থেকে গণনা করা হবে এবং পরবর্তী ৩১শে মার্চ শেষ হবে।
বর্তমানে আয়কর আইনে মূল্যায়ন বছরের ধারণা রয়েছে, যেখানে পূর্ববর্তী আর্থিক বছরের আয়কর মূল্যায়ন করা হয়। নতুন আইনে এই জটিলতা দূর করে সরাসরি কর বছরের আয়ের ভিত্তিতে কর ধার্য করা হবে। এছাড়াও, নতুন আইনে ডিজিটাল সম্পদ যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি, ভার্চুয়াল ডিজিটাল অ্যাসেট ইত্যাদি অবিকলিত আয়ের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নতুন আইনে বেতন থেকে কাটা যাওয়া বিভিন্ন ভাতা যেমন স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, গ্র্যাচুইটি, ছুটির ভাতা ইত্যাদি এক জায়গায় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যা আগে বিভিন্ন ধারা ও নিয়মে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এছাড়াও, নতুন আইনে করদাতাদের অধিকার ও স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য করদাতা সনদ (Taxpayers Charter) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০২৫ সালের বাজেটে ঘোষিত কর স্ল্যাবের পরিবর্তনও নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যদিও করের হারগুলোতে বড় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। নতুন এই আইনটি আয়কর বিভাগের একটি কমিটি দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং জনসাধারণের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
আয়কর আইনের এই সংস্কার আয়কর ব্যবস্থাকে আরও সহজবোধ্য ও স্বচ্ছ করতে সাহায্য করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। নতুন আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পর আরও বিশদ পরিবর্তন ও প্রভাব সম্পর্কে জানা যাবে।