ডানকুনির মাঠে সিপিএমের ঢেউ: লালের জোয়ারে জমল মানুষের মেলা
ডানকুনি: মাটি কাঁপিয়ে, হৃদয় জুড়িয়ে, সিপিএম শনিবার ডানকুনি স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠ ভরিয়ে দিল। শুধু মাঠ নয়, ভিড় ছড়িয়ে পড়ল ডানে-বাঁয়ে, প্রায় এক কিলোমিটার ধরে। যেন একটা জনসমুদ্র গড়ে উঠল, লালের আবেগে টইটম্বুর! কিন্তু মাঝখানে ২২ গজের পিচ—ওটা রইল ফাঁকা, লাল কাপড়ে ঘেরা। ক্রিকেটের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সিপিএম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পিচ নষ্ট হবে না। তবে নেতারা হেসে বলছেন, "খেলার মাঠে পিচ ছাড়া যায়, কিন্তু রাজনীতির ২২ গজ? সেটা আমরা কখনও ছাড়ব না!"
প্রকাশ্য সমাবেশে তখন দেবলীনা হেমব্রমের গলা ভেসে আসছে—তাঁর প্রতিটি কথায় জ্বলে উঠছে জনতার বুকের আগুন। হঠাৎই হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষের কাছে পুলিশের বার্তা এল—‘মাঠ আর ধরছে না, ঘোষণা করে দিন। যাঁরা আসছেন, তাঁরা রাস্তায় থামুন।’ সিপিএম-ও গলা তুলল, "কমরেড, দাঁড়িয়ে পড়ুন। মাঠের দিকে আর এগোবেন না।" লাউডস্পিকারের ধ্বনি দীর্ঘ পথ ধরে ছড়িয়ে পড়ল, কেউ বক্তৃতা থেকে বঞ্চিত হলেন না।
এই জমায়েত যেন শুধু মানুষের নয়, প্রযুক্তিরও জয়গান গাইল। সিপিএম-এর ডিজিটাল টিম তৎপর হয়ে উঠল—ক্যামেরার ফ্রেমে, আকাশে ড্রোনের চোখে ধরা পড়ল লালে ঠাসা জনস্রোত। ড্রোনের লেন্সই যেন হয়ে উঠল এই জমায়েতের কবি, আকাশ থেকে ছড়িয়ে দিল মানুষের একতার অপূর্ব ছবি। এ এক নতুন লড়াইয়ের গল্প—যেখানে পুরনো আদর্শ আর আধুনিকতা হাত ধরে এগোচ্ছে। ডানকুনির এই মাঠ কি আবার বাংলার লাল স্বপ্নের সাক্ষী হবে?