" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ: শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চাপা বিক্ষোভকারীকে, আহত ছাত্র ও অধ্যাপকরা //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ: শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চাপা বিক্ষোভকারীকে, আহত ছাত্র ও অধ্যাপকরা

 



কলকাতা, ১ মার্চ, ২০২৫ – আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম উত্তেজনার মধ্যে ছাত্র ও প্রশাসনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ক্যাম্পাস পরিদর্শনের সময় বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির নেতৃত্বে বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নেয়। এই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর এবং ছাত্র ও অধ্যাপকদের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনার প্রধান বিষয়সমূহ:

  1. বিক্ষোভ ও ভাঙচুর:
    শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতির বিরোধিতা করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা মন্ত্রীর গাড়ির টায়ার পাংচার করে এবং গাড়িটি ঘেরাও করে রাখে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে গাড়িটির জানালা ভেঙে দেওয়া হয় এবং বাহ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।

  2. আহতের সংখ্যা:
    মন্ত্রীর গাড়ি আটকানোর চেষ্টাকালে এক ছাত্র গুরুতরভাবে আহত হয়। সংঘর্ষের সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও আঘাত পান এবং তাঁকে দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া, নিরাপত্তারক্ষী এবং ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন অধ্যাপকও আহত হন।

  3. ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে সংঘর্ষ:
    বিক্ষোভের সময় বামপন্থী ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (এসএফআই) এবং শাসক দল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসএফআই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তোলে এবং দাবি করে যে মন্ত্রীর গাড়ি বের হওয়ার চেষ্টা করার সময় এক ছাত্র আহত হয়। অন্যদিকে, টিএমসিপি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ব্রাত্য বসুর সমর্থনে মিছিল বের করে।

  4. রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
    এই ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র সংগঠনের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। গণতান্ত্রিক স্টুডেন্টস ফ্রন্ট (ডিএসএফ) ছাত্র সংসদের নির্বাচন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। এসএফআই মন্ত্রীর নিরাপত্তা দলের ভূমিকার তদন্তের দাবি তুলেছে।

ছাত্র সংগঠনগুলির প্রতিক্রিয়া:

  • এসএফআই: শিক্ষামন্ত্রীর উদাসীনতার বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ এবং অবস্থান বিক্ষোভ করে এসএফআই। আহত ছাত্রের জন্য জবাবদিহিতা দাবি করে তারা।
  • টিএমসিপি: টিএমসিপি মন্ত্রীর উপর আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিংসার ঘটনা বলে দাবি করেছে। তারা মন্ত্রীর সমর্থনে একাত্মতা মিছিল করেছে।
  • ডিএসএফ: ডিএসএফ ছাত্র সংসদের নির্বাচন এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।

পরবর্তী পরিস্থিতি:

এই ঘটনার পর ছাত্র রাজনীতি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক সংগঠনগুলির ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রশাসন হিংসার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে, ছাত্র সংগঠনগুলি দোষীদের শাস্তি এবং আহতদের জন্য বিচার দাবি করছে।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাময়িকভাবে সব শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি।

এই খবরটি আপডেট করা হবে।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies