৩ মার্চ, ২০২৫ – হোলি উৎসবের সময় দুধজাত পণ্য, মিষ্টি এবং স্ন্যাকসের চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে, ভারতীয় খাদ্য সুরক্ষা ও মান নির্ধারণ কর্তৃপক্ষ (FSSAI) "হোলি অ্যান্টি-অ্যাডাল্টারেশন ড্রাইভ ২০২৫" নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। পনিরসহ অন্যান্য দুধজাত পণ্যের মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
অভিযানের প্রধান পদক্ষেপসমূহ:
-
জোরদার পর্যবেক্ষণ:
রাজ্য ও আঞ্চলিক দপ্তরগুলোর সহায়তায় পনির, ঘি, খোয়া এবং অন্যান্য দুধজাত পণ্যের নমুনা সংগ্রহ ও পরিদর্শন করা হবে। -
স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা:
"ফুড সেফটি অন হুইলস" নামে মোবাইল পরীক্ষাগাড়ি সীমান্ত, বাজার এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। এগুলো তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্যপণ্যের মান পরীক্ষা করবে। -
কঠোর আইন প্রয়োগ:
মান লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলা নিশ্চিত করা হবে।
পনির পরিদর্শনের জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড:
FSSAI পনির পরীক্ষার জন্য বিশেষ কিছু মান নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:
-
নিয়মাবলী অনুসরণ:
২০১১ সালের খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নির্ধারণ (দূষক, বিষাক্ত এবং অবশিষ্ট পদার্থ) বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। পণ্যের লেবেলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে যে এটি প্রাকৃতিক নাকি অনুকরণ পনির। -
মাইক্রোবায়োলজিক্যাল নিরাপত্তা:
মাইক্রোবিয়াল লোড, কোলিফর্ম, ইস্ট এবং মোল্ড পরীক্ষাসহ E. coli, Salmonella, এবং Listeria monocytogenes-এর উপস্থিতি পরীক্ষা করা হবে। -
শারীরিক ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য:
পনিরে যেন ময়লা, রং পরিবর্তন বা অন্যান্য দূষণ না থাকে। সঠিক মাত্রার দুধের ফ্যাট, প্রোটিন এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।
ভোক্তাদের জন্য পরামর্শ:
FSSAI ভোক্তাদেরও সচেতন করছে যাতে তারা সহজ পদ্ধতিতে ভেজাল পনির চিনতে পারে। যেমন:
- আয়োডিন পরীক্ষা: পনিরে স্টার্চ শনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- গরম জলে পরীক্ষা: বিশুদ্ধ পনির গরম জলে অক্ষত থাকবে, ভেজাল পনির ভেঙে যাবে।
- তাপ পরীক্ষা: পনির গরম করলে যদি অতিরিক্ত তেল বের হয়, তবে তা ভেজাল হতে পারে।
এ অভিযানের মাধ্যমে FSSAI ভেজাল খাদ্যের ঝুঁকি হ্রাস করে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। উৎসবের সময় মানসম্মত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে সংস্থাটি।
অধিক তথ্যের জন্য FSSAI-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।