শহীদ কমরেড শেখ আনারুলের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত
২০০০ সালের ৯ই মার্চ প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন কমরেড শেখ আনারুল। আজ তাঁর নিজ গ্রাম রাঙামাটিতে গভীর শ্রদ্ধা ও আবেগের সঙ্গে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হলো। কমরেড আনারুল ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র অবিভক্ত দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল কমিটির অন্তর্ভুক্ত ডি এস -৫ লোকাল কমিটির সক্রিয় সদস্য এবং লাউদোহা লোকাল কমিটির সম্পাদক। তাঁর নেতৃত্ব ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন অসংখ্য কর্মী।
শ্রদ্ধা ও শিক্ষা
স্মরণসভায় বক্তারা উল্লেখ করেন, শহীদ কমরেড শেখ আনারুল একজন আদর্শবাদী ও সংগ্রামী নেতা ছিলেন। তিনি শিক্ষাদান করেছিলেন যে, একজন প্রকৃত কমিউনিস্ট কর্মীকে ন্যায়, নীতি, আদর্শ, সততা, স্বচ্ছতা, মূল্যবোধ এবং চরিত্র গঠনের মতো মৌলিক গুণাবলী অর্জন করতে হয়। তাঁর মতে, মানুষ তখনই আস্থা ও ভরসা করবে, যখন একজন কর্মী নিজের আদর্শে অটল থাকবে এবং স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করবে।
সংগ্রাম ও ত্যাগের শিক্ষা
স্মরণসভায় বক্তারা স্মরণ করেন, শহীদ শেখ আনারুল শিখিয়েছিলেন, একজন কমিউনিস্ট কর্মীকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। কখনও ঘর ছাড়তে হয়, কখনও ব্যক্তিগত স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে হয়। জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়। তবুও তাকে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির চোখে চোখ রেখে দৃঢ়তা ও সাহসের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে হয়।
স্মৃতিচারণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি
সেদিন দিল্লিতে সিআইটিইউ এবং অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়নের বিশাল মিছিল চলছিল নয়া অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে। সেই সময় শহীদ আনারুলের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি ছিলেন শ্রমিক আন্দোলনের এক অপরাজেয় সৈনিক, যাঁর ত্যাগ ও সংগ্রাম আজও অনুপ্রেরণা জোগায়।
শহীদ কমরেড শেখ আনারুলকে স্মরণ করে লাল সেলাম জানানো হয়। উপস্থিত সকলে তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ করার অঙ্গীকার করেন। শ্রেণী বিভক্ত সমাজে মতাদর্শগত সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই—এ কথা নতুন করে প্রতিধ্বনিত হয়।
লাল সেলাম, শহীদ কমরেড শেখ আনারুল!