রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যার প্রতিবাদে এবং ক্যাম্পাসে নির্বাচনের দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠেছে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করতে গেলে তাঁদের দাবি উপেক্ষা করেন মন্ত্রী। বিক্ষোভের সময় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি বিক্ষোভকারীদের উপর চালানোর অভিযোগে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর প্রতিবাদে এসএফআই শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আজ রাজ্যব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয়।
তবে, আজ থেকেই শুরু হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকে প্রভাবমুক্ত রাখতে এসএফআই বিশেষ পদক্ষেপ নেয়। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে একাধিক সহায়তা কেন্দ্র খুলেছে তারা এবং এই পরীক্ষা ধর্মঘট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ধর্মঘটের সমর্থনে রাজ্যের বহু কলেজে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির পিকেটিং ও বিক্ষোভ দেখা যায়। এই বিক্ষোভ রুখতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পথে নামলেও একাধিক জায়গায় তাঁদের পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। কিছু জায়গায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকায় ব্যাপক লাঠিচার্জ করা হয়। একাধিক বিক্ষোভকারী আহত হন বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। এসএফআই-এর ডাকা বিক্ষোভে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ সেই অসন্তোষের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। ছাত্র আন্দোলনের এই উত্তাল পরিস্থিতি রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র ও রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।