আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই সভার আড়ালে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের প্রবেশ ঘটিয়ে অশান্তি সৃষ্টি এবং শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ কলুষিত করার চক্রান্ত করছে তৃণমূল।
বহিরাগতদের উপস্থিতি:
বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মধ্যমগ্রামের পরিচিত এক তৃণমূল কর্মীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন, এই ব্যক্তি যাদবপুর ক্যাম্পাসে কীভাবে প্রবেশ করল? তৃণমূলপন্থী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকার দাবি উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বলছেন, "আমাদের ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের এনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এরা শিক্ষার্থী নয়। আমরা এই ধরনের কার্যকলাপের তীব্র বিরোধিতা করছি।"
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ:
ছাত্র সংগঠনগুলি এবং কিছু বামপন্থী অধ্যাপক অভিযোগ করেছেন যে বহিরাগতদের ব্যবহার করে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে তৃণমূল। তাদের দাবি, তৃণমূল সরকার ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিতে চাইছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, "শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। বহিরাগতদের উপস্থিতি এবং তাদের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।"
ছাত্রদের প্রতিবাদ:
ছাত্ররা এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। তারা অভিযোগ তোলে যে তৃণমূল সরকার ছাত্র রাজনীতির নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে।
এক ছাত্র বলেন, "আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ চাই। কিন্তু বহিরাগতদের এনে আমাদের ক্যাম্পাসকে রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা হচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।"
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিরোধী দলগুলি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি দাবি করেছে যে এই ঘটনাগুলি শিক্ষাঙ্গনের স্বায়ত্তশাসন হরণের পরিকল্পনারই অংশ।
শেষ কথা:
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখা অত্যন্ত জরুরি। বহিরাগতদের উপস্থিতি এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ শিক্ষার মান নষ্ট করছে বলে অভিযোগ উঠছে। প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।