সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে দুর্গাপুরে উৎসবের আমেজ
দুর্গাপুর, পশ্চিমবঙ্গ – বাংলা সঙ্গীত জগতের এক অবিস্মরণীয় নাম সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে দুর্গাপুরে চলছে একগুচ্ছ বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। ১৯২৫ সালের ১৯শে নভেম্বর জন্মগ্রহণ করা এই কিংবদন্তি সুরকার, গীতিকার এবং গল্পকার বাংলা, হিন্দি ও মালয়ালাম সঙ্গীত জগতকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর সৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সলিল সমারোহ উদযাপন কমিটি আয়োজন করেছে একাধিক মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠান।
ম্যারাথন এবং র্যালি: নতুন প্রজন্মের সম্পৃক্ততা
শনিবার বিজন এডিশন রোড থেকে শুরু হয়েছিল মশাল দৌড়। স্টিল টাউনশিপের বিভিন্ন রাস্তা অতিক্রম করে এই দৌড় শেষ হয় তানসেন অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠে। একই দিনে আয়োজন করা হয়েছিল মহিলাদের র্যালি। এই র্যালি দুর্গাপুরবাসীর অংশগ্রহণে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে।
সঙ্গীত সন্ধ্যা: সলিল চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
তানসেন রোড ভলিবল গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সঙ্গীত সন্ধ্যা। সেখানে শিল্পীরা পরিবেশন করেন সলিল চৌধুরীর সৃষ্টি থেকে অমর গান। তাঁর সঙ্গীতের গভীর প্রভাব আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে।
সংস্কৃতি প্রতিযোগিতা: সৃষ্টিকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা
রবিবার অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত পরিবেশনা এবং নাট্য প্রযোজনার মাধ্যমে সলিল চৌধুরীর শিল্পকর্ম নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হয়।
বিশিষ্টদের উপস্থিতি
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ইডি ওয়াই কে রাধাকৃষ্ণন, প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষ দেব রায়, প্রাক্তন মহানগরিক রথেন রায় এবং আরও অনেকে। তাঁদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের গরিমা বৃদ্ধি করেছে।
সলিল চৌধুরী: বাঙালির চিরন্তন অনুপ্রেরণা
সলিল চৌধুরী শুধুমাত্র সংগীতের জগতেই নয়, তিনি ছিলেন গণসংগীতের এক অগ্রদূত। তাঁর গানের কথাগুলি আজও মানুষের লড়াই এবং চেতনায় অনুপ্রেরণা জোগায়। দুর্গাপুরে তাঁর জন্মশতবর্ষ উদযাপন তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার প্রমাণ।
সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উদযাপন দুর্গাপুরকে সঙ্গীতপ্রেমীদের মিলনস্থলে পরিণত করেছে। তাঁর সৃষ্টির প্রতি এই শ্রদ্ধা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁর নামকে জীবিত রাখবে।