" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory কলকাতার মেছুয়া বাজারে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৪ জনের মৃত্যু; বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি ফিরিয়ে দিল //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

কলকাতার মেছুয়া বাজারে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৪ জনের মৃত্যু; বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি ফিরিয়ে দিল

 কলকাতার মেছুয়া বাজারে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৪ জনের মৃত্যু; বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি ফিরিয়ে দিল



কলকাতা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫: পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার মধ্যস্থলে অবস্থিত মেছুয়া ফলবাজার এলাকায় একটি হোটেলে গত মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজন ঝলসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম এখনও চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, হোটেলটি অতিথিদের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কিছু অতিথি প্রাণ বাঁচাতে জানালার কার্নিশে উঠে গিয়েছিলেন। পুলিশ মাইকিং করে তাদের ঝাঁপ না দেওয়ার জন্য সতর্ক করছিল। তবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় এবং সরু গলির কারণে দমকল বাহিনীর পক্ষে আগুন নেভানোর কাজে বিলম্ব হয়েছে।

বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ইতিহাস

মেছুয়া বাজারের এই ঘটনা কলকাতার বড়বাজারের বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে। বড়বাজার, যা পূর্ব ভারতের বৃহত্তম পাইকারি বাণিজ্য কেন্দ্র, অতীতে বারবার অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছে। ২০১৮ সালে বড়বাজারের বাগড়ি মার্কেটে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪০০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, দাহ্য পদার্থ যেমন প্রসাধনী, রাসায়নিক এবং প্লাস্টিকের প্যাকেজিং উপকরণ আগুনের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়।
এর আগে, ২০১৭ সালে বড়বাজারের আমরতল্লা লেনে একটি তিনতলা বাড়িতে আগুন লেগেছিল। সেখানেও সরু গলি এবং ভিড়ের কারণে দমকল বাহিনীর কাজে বাধা সৃষ্টি হয়। ২০২৩ সালে বড়বাজারের কটন স্ট্রিটে একটি কাপড়ের দোকানে অগ্নিকাণ্ড হয়, যেখানে শর্ট সার্কিটকে দায়ী করা হয়। এই ঘটনাগুলো থেকে বোঝা যায়, কলকাতার বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বিধি মানার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।

নিরাপত্তা বিধি মানার অভাব

জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ২৫,০০০ মানুষ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান। পশ্চিমবঙ্গ ফায়ার সার্ভিসের নিয়ম অনুযায়ী, ফায়ার স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের এ ধরনের পরিস্থিতিতে তৎপরতার সাথে কাজ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে নিরাপত্তা বিধি মানা হয় না। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা নিজেদের সুবিধার জন্য নিরাপত্তা বিধি ভুলে যাই। রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে না।"
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে একজন নাগরিক সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, "দুঃখদ, ঈশ্বর দিবঙ্গত আত্মাদের শ্রীচরণে স্থান দিন।" আরেকজন মন্তব্য করেছেন, "ভারতে এমন সমস্যা মোকাবিলার জন্য কোনো প্রস্তুতি নেই।"পুলিশ এবং দমকল বিভাগ আগুনের কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হোটেলে নিরাপত্তা বিধি না মানা এবং জরুরি ব্যবস্থার অভাবই এই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এই ঘটনা কলকাতার বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তার উপর নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
#কলকাতা #অগ্নিকাণ্ড #মেছুয়াবাজার #বড়বাজার #পশ্চিমবঙ্গ

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies