নেতাজি ইন্ডোরে প্রশাসনিক সভা ঘিরে বিতর্ক, সুপ্রিম কোর্টের রায় লঙ্ঘনের অভিযোগ
কলকাতা, ৭ এপ্রিল:
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আজকের প্রশাসনিক সভা ঘিরে উঠেছে প্রবল বিতর্ক। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিরোধী দলের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিগত কয়েক বছরে প্রায় এক কোটির কাছাকাছি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে রাজ্য প্রশাসন।
বিরোধীদের দাবি, অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, অথচ সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার বলার পরেও রাজ্য সরকার এবং এসএসসি বেআইনি সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের তালিকা দিতে পারেনি। আজকের নেতাজি ইন্ডোর সভায় কিছু প্রার্থীদের ‘যোগ্য’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃত যোগ্য বহু পরীক্ষার্থীকে সভার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
একজন বিরোধী মুখপাত্র বলেন, “রাজ্যে ৮৯% ছাত্রছাত্রী সরকারি স্কুল শিক্ষার উপর নির্ভরশীল। ইতিমধ্যে ৮,২০০ স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষক সংকট যদি চলতেই থাকে, তাহলে সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা কোথায় পড়াশোনা করবে?”
তিনি আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, তিন মাসের মধ্যে স্বচ্ছভাবে ফেজ রিক্রুটমেন্ট করতে হবে। কিন্তু এসএসসি চেয়ারম্যানই বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ সম্ভব নয় – এটা সরাসরি আদালত অবমাননা। আমরা দাবি করছি, এই এসএসসি চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে অপসারণ করা হোক এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতের নজরদারিতে সম্পন্ন হোক।”
সবচেয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলেও ইঙ্গিত করেছেন বিরোধীরা। তাদের ভাষায়, "অযোগ্য প্রার্থীদের টাকা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছে বলেই আজ তিনি তাদের পক্ষে কথা বলতে বাধ্য হচ্ছেন।"
রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও এই অভিযোগগুলোর সরাসরি কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তবে পরিস্থিতি যত এগোচ্ছে, এসএসসি কেলেঙ্কারি ঘিরে রাজ্যের রাজনীতি ততটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।