দুর্গাপুর, ২৮ এপ্রিল:
“বিচারের মন্দির রক্ষায় আমরা লড়ব, পিছু হটব না!” এই প্রত্যয়ে আজ দুর্গাপুর আদালত চত্বরে আইনজীবীরা তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। ২৫ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ একাধিক আইনজীবীর উপর দুষ্কৃতীদের বর্বর আক্রমণের ঘটনা রাজ্যের বিচার ব্যবস্থার উপর আঘাত এবং গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছে।
কালো ব্যাজ ধারণ করে, মুষ্টিবদ্ধ হাতে মিছিলরত আইনজীবীদের চোখে ছিল ক্ষোভ, মুখে ছিল দৃঢ় সংকল্প। “আমরা মাথা নত করব না, আইন ও ন্যায়ের জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই চালাব,” – এমনই স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে দুর্গাপুর আদালতের প্রতিটি কোণ।
নির্বাক প্রশ্নবাণ:
"পুলিশ যখন সেখানে ছিল, তখন কেন বিচার রক্ষকরা সুরক্ষিত ছিলেন না?" প্রশ্ন তুলেছেন এক প্রবীণ আইনজীবী। “আমরা আইনজীবীরা সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করি। আজ আমাদের উপর আক্রমণ হল, আগামীকাল হয়তো বিচার চাইতে আসা সাধারণ মানুষও নিরাপদ থাকবেন না,” – বলেন এক তরুণ আইনজীবী, যার কণ্ঠস্বরে ছিল বিষণ্ণতার সাথে প্রতিরোধের শক্তি।
আক্রমণের গভীর ক্ষত:
কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে যে বর্বর আক্রমণ ঘটেছে, তা শুধু ব্যক্তিগত নয়, বিচার ব্যবস্থার ভিত্তির উপর আঘাত। বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, যিনি ন্যায়ের পক্ষে লড়াইয়ে সর্বদা অগ্রণী, তাকেও রেহাই দেয়নি দুষ্কৃতীরা। “আমাদের নীরব করে দেওয়া যাবে না। আমরা বিচার ও গণতন্ত্রের পতাকা উঁচু রাখব,” – দৃঢ় সংকল্পের সাথে বলেন আন্দোলনকারীরা।
রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের জোয়ার:
আল ইন্ডিয়া লইয়ার্স ইউনিয়ন (AILU)-এর নেতৃত্বে আজ রাজ্যের প্রতিটি আদালত চত্বরে মিছিল, পোস্টারিং, এবং ধিক্কার সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি এবং জেলা জজকে স্মারকলিপি প্রদান করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হবে।
প্রতিবাদের আত্মা:
"এ লড়াই শুধু আমাদের নয়। এ লড়াই ন্যায়ের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য।" এই বার্তা নিয়ে দুর্গাপুর আদালতের আইনজীবীরা আজ যেভাবে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন, তা রাজ্যের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।
“ন্যায়ের পক্ষে আমাদের লড়াই চলবে। আমরা নত হব না, রুখে দাঁড়াব। আমরা বিচার ও গণতন্ত্র রক্ষার শপথ নিয়ে এগিয়ে চলব,” – এই অঙ্গীকারে আজ প্রতিটি আদালত চত্বর এক নতুন জাগরণের সাক্ষী হলো।