সিপিআই(এম)-এর নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হলেন এম. এ. বেবি
মাদুরাইয়ে ২৪তম পার্টি কংগ্রেসে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, প্রথম সংখ্যালঘু সাধারণ সম্পাদক
মাদুরাই, তামিলনাড়ু: কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী)-এর ২৪তম পার্টি কংগ্রেসে কেরালার বর্ষীয়ান নেতা মারিয়ম আলেকজান্ডার বেবি, যিনি এম. এ. বেবি নামে পরিচিত, দলটির নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সিপিআই(এম) গঠনের পর এই প্রথম কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা সর্বোচ্চ সাংগঠনিক পদে নিযুক্ত হলেন। এছাড়াও, তিনি ই. এম. এস. নামবূদিরিপাদের পর কেরালার দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হলেন।
এম. এ. বেবি: এক সংগ্রামী নেতার রাজনৈতিক যাত্রা
১৯৫৪ সালের ৫ এপ্রিল কোল্লামে জন্ম নেওয়া এম. এ. বেবি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কেরালা স্টুডেন্টস ফেডারেশনের (যা পরবর্তীতে এসএফআই হিসেবে পরিচিত হয়) মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা। তিনি পরবর্তীতে ডিওয়াইএফআই এবং সিপিআই(এম)-এর বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে কাজ করেছেন।
- ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় সিপিআই(এম)-এর সদস্য ছিলেন।
- ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত কেরালার শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- ২০১২ সালে সিপিআই(এম)-এর ২০তম পার্টি কংগ্রেসে পলিটব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হন।
নতুন নেতৃত্ব, নতুন দিশা
সিপিআই(এম)-এর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণের পর দলকে পুনর্গঠনের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে পার্টি। এম. এ. বেবির নেতৃত্বে দল তার প্রভাব কেরালার বাইরে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি দলীয় ঐক্য, তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ে তোলা এবং নবীনদের নেতৃত্বে তুলে আনার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাছাই
দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরোর সর্বসম্মত সমর্থনে এম. এ. বেবির নাম চূড়ান্ত করা হয়। প্রবীণ নেতা প্রকাশ কারাট এবং কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নেরও সমর্থন ছিল তাঁর প্রতি।
এই সিদ্ধান্ত সিপিআই(এম)-এর ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এখন দেখার বিষয়, এম. এ. বেবির নেতৃত্বে দল কীভাবে তার রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা এবং বিস্তার আরও জোরদার করে তোলে।