শিক্ষক আন্দোলনে পুলিশের লাঠি চার্জ: ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে উত্তাল রাজপথ
শিক্ষক, যাঁদের বলা হয় সমাজ গড়ার কারিগর, আজ তাঁদের মর্যাদা গুরুতরভাবে আক্রান্ত। বৃহস্পতিবার কলকাতার রাজপথে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের প্রতিবাদে পুলিশের লাঠি চার্জে নতুন করে উঠে এল শাসন এবং নাগরিক অধিকারের সংঘাতের এক করুণ ছবি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রতিবাদরত শিক্ষকদের ওপর বেধড়ক লাঠি চালানো হয়েছে। একাধিক ভিডিও ও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পুলিশের আঘাতে আহত হয়েছেন অনেকে। একজন পুলিশ কর্মীর শিক্ষকের পিঠে লাথি মারার দৃশ্য সর্বস্তরে নিন্দার জন্ম দিয়েছে। উপস্থিত প্রতিবাদকারীরা বলেছেন, “এই আঘাত শুধু একজন শিক্ষকের ওপর নয়, এটি গোটা শিক্ষাজগতের প্রতি অপমান।”
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন চিকিৎসক, শিল্পী ও সাধারণ নাগরিকরা। এক বিশিষ্ট চিকিৎসক মন্তব্য করেন, “এটি শুধু শিক্ষকদের সমস্যা নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। একজন নাগরিক হিসেবে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।”
শিক্ষক আন্দোলনের মূল বিষয় হলো এসএসসি মাধ্যমে চাকরিচ্যুত হওয়ার অভিযোগ। শিক্ষকদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, কিন্তু রাজ্য সরকার এই সংকট সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শুক্রবার শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না তাঁদের ন্যায্য দাবি পূরণ হচ্ছে, তাঁরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাক্ষেত্রের সংকট আরও গভীর হয়ে উঠছে। রাজ্যের রাজনৈতিক মহল, নাগরিক সমাজ ও শিক্ষাজগতের প্রতিনিধি সকলেই এ বিষয়ে ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন। ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি, এক বৃহত্তর সামাজিক সংহতির প্রমাণও উঠে এসেছে।