:
ব্রিগেডে ক্ষেতমজুরদের লড়াইয়ের বার্তা, ২৬-এ উইকেট ফেলার হুঁশিয়ারি বন্যার
কলকাতা: বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে খেটে খাওয়া মানুষ ও ক্ষেতমজুরদের অধিকারের জন্য তীব্র লড়াইয়ের ডাক দিলেন নেত্রী বন্যা। শহরের মানুষের কাছে তাঁদের বঞ্চনার কথা পৌঁছয় না অভিযোগ করে তিনি জানান, এই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়বেন তাঁরা, কোনওভাবেই পথ থেকে সরবেন না। তাঁর বক্তৃতায় ছিল অধিকার আদায়, বঞ্চনার ক্ষোভ এবং আগামী দিনের জন্য স্পষ্ট হুঁশিয়ারির সুর।
বন্যা বলেন, এই লড়াই শুধুই খেতমজুর এবং খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি ও বর্তমান অবস্থার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। ব্রিগেডে এত লোক হওয়া সত্ত্বেও ভোটবাক্স খালি থাকার ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, মানুষের রুটিরুজি আর ভোটবাক্স দুটো ভিন্ন জিনিস। তাঁর স্পষ্ট দাবি, ১০০ দিনের কাজ হয় ২০০ দিন করতে হবে, নয়তো কাজ না দিতে পারলে টাকা দিতে হবে। "আপনাদের জন্যই লড়াই করছি," জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁরা পিছিয়ে যাননি, তাই মা-বোনেরাও ব্রিগেডে এসেছেন।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বন্যা অভিযোগ করেন, তাঁদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপক চুরির অভিযোগ তুলে তিনি কটাক্ষ করেন, "এত চুরি করেছে এত চুরি করেছে, দিদি কী বলবেন বুঝতে পারছেন না।" এমনকি কর্মসংস্থান নিয়ে চপ বিক্রির মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন তিনি।
নারীদের সম্মান ও সুরক্ষা নিয়েও সরব হন বন্যা। লক্ষ্মীদের (নারীদের সম্মান অর্থে) সম্মান থাকে না উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, তাহলে তাদের আর ভান্ডার কীসের? মেয়েদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে এবং টাকা ধরিয়ে দিয়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টারও অভিযোগ করেন তিনি।
শেষে প্রতিপক্ষের 'খেলা হবে' স্লোগানের জবাবে বন্যা দৃঢ় কণ্ঠে জানান, "খেলা আমরাও করব।" আগামী দিনে অনেক কাজ বাকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্রিগেড থেকে চলে গেলেই লড়াই শেষ নয়। তাঁর বক্তৃতার শেষাংশে ছিল আগামী নির্বাচনের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি। তিনি বলেন, "২৬-এ আমরাও দেখিয়ে দেব। আমরা উইকেট ফেলব।"
সব মিলিয়ে, বন্যার বক্তৃতায় ছিল বঞ্চিত মানুষের ক্ষোভ, অধিকার আদায়ের জেদ এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য জোরদার প্রস্তুতি ও প্রতিপক্ষের প্রতি কড়া বার্তা।